গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

উচ্চ বেতনের কারণে অনেকে কাজের ভিসা নিয়ে গ্রিসে যেতে চায়। এজন্য প্রথমে গ্রিসে যেতে কত টাকা লাগে ধারণা নিতে হবে। গ্রিস দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেন দেশের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে গ্রিসে যেতে কত টাকা লাগে সঠিক ধারণা পাবেন। এছাড়া গ্রিস ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত সকল সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তাই ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

গ্রিসে যেতে কত টাকা লাগে?

গ্রিস সেনজেন দেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশটির ভিসা পাওয়ার তুলনামূলক কঠিন। গ্রিস ভিসা প্রসেসিং করতে এক বছর থেকে দেড় বছর সময় লাগে। ইউরোপের সেনজেন দেশের ভিসা খরচ সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। গ্রিসে যেতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করে ভিসা ক্যাটাগরির উপর। উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি  আর ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ আলাদা হয়ে থাকে। 

বর্তমান কাজের ভিসা নিয়ে গ্রিসে যেতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে গেলে ভিসা খরচ কম লাগে। তবে দালাল কিংবা এজেন্সি সহযোগিতায় গেলে বেশি টাকা লাগে। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গ্রিসে যেতে প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।

গ্রিস ভিসা আবেদন ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে কয়েক ধরনের ভিসা নিয়ে গ্রিসে যাওয়া যায়। যেমন: স্টুডেন্ট, টুরিস্ট ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে গ্রিস ভিসা আবেদন করতে হয়।

  • প্রথমে গ্রিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হয়।
  • ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা আবেদন ফি অনলাইনে সাবমিট করে পাঠাতে হয়।
  • নির্দিষ্ট তারিখে দূতাবাসে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হয়। এভাবে গ্রীস ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়। তবে কেউ চাইলে বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে পারে।

গ্রিসে যেতে কি কি লাগে?

গ্রিসে যেতে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা কাগজপত্র লাগে। গ্রিসে যেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:

  • পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট
  • স্কিল সার্টিফিকেট (ওয়ার্ক ভিসা
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (ওয়ার্ক ভিসা)
  • ফাইন্যান্সিয়াল সলভেন্সি ডকুমেন্ট (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • জব অফার লেটার (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা)
  • জব কন্ট্রাক্ট পেপার (ওয়ার্ক ভিসা)
  • ইংরেজি ভাষা দক্ষতা (যদি লাগে)
  • ভর্তির অফার লেটার (স্টুডেন্ট ভিসা)
  • ট্রাভেল রেকর্ড (টুরিস্ট ভিসা)

গ্রিস যেতে কত বছর বয়স লাগে?

গ্রিসে যেতে সাধারণত বয়সের বাধ্যবাধকতা নেই। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গ্রিসে যেতে শিক্ষার্থীদের বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হয়। পর্যটকদের বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হয়। তবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে গ্রিসে যেতে ভিসা আবেদনকারীদের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর হতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top