বাংলাদেশ থেকে অনেকে নিউজিল্যান্ড যেতে চায়। বাংলাদেশ থেকে এই দেশে যেতে আগ্রহীদের নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে। নিউজিল্যান্ড ইউরোপের কোনো দেশ নয়। এটি ওশেনিয়া মহাদেশের শিল্প উন্নত একটি দেশ।
এই দেশের সরকার প্রতি বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডের কাজের বেতন সাধারণত অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। দক্ষ শ্রমিকরা এই দেশে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পায়।
এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে জানতে পারবেন। এছাড়া নিউজিল্যান্ড যাওয়ার সহজ উপায়, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিসা ফি, ভিসা প্রসেসিং টাইম ইত্যাদি সম্পর্কে সর্বশেষ সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
নিউজিল্যান্ড যাওয়ার সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভা ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ডে যাওয়া যায়। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি। এছাড়া স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরি ড্র প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এই দেশে যেতে পারবেন।
- নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা: নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ডের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার পেতে হয়। শিক্ষার্থীদের আইএলটিএস স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণস্বরূপ; ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হয়। এছাড়া রিকমেন্ডেশন লেটার লাগে।
- নিউজিল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা: নিউজিল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আর্থিক সক্ষমতা থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ট্রাভেল রেকর্ড থাকতে হবে।
- নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ডের কোনো কোম্পানির জব অফার লেটার পেতে হয়। এই দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রত্যাশীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। এছাড়া ভিসা আবেদনের জন্য স্কিল সার্টিফিকেট, ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট, কাজের চুক্তিপত্র ইত্যাদি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ড
- আইইএলটিএস স্কোর
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- স্বাস্থ্য বিমা
নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে এই দেশে যেতে খরচ কম হয়। তবে বেসরকারিভাবে যেতে খরচ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যেতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১৩ লক্ষ টাকা লাগে। তবে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়। স্টুডেন্ট ভিসার খরচ সাধারণত কম।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে সহজে নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়া যায়। দালালের মাধ্যমে এই দেশে যেতে ভিসা খরচ আরও বেশি লাগতে পারে। কেউ চাইলে বিশ্বস্ত এজেন্টের কাছ থেকে ভিসা প্রসেসিং সার্ভিস নিতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডের দূরত্ব প্রায় ১১,১৩৬ কিলোমিটার। বিমানের ফ্লাইটে করে বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যেতে প্রায় ২০ ঘন্টা সময় লাগে।
এয়ারলাইন্স কোম্পানি, ফ্লাইটের ধরন ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই সময় ভিন্ন হতে পারে। নিউজিল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং হতে ২০ দিন থেকে ১১ মাস পর্যন্ত সময় লাগে।
নিউজিল্যান্ড ভিসার ফি কত?
নিউজিল্যান্ড ভিসার ফি সাধারণত প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা ফি ভিন্ন হয়ে থাকে।
লেখকের পরামর্শ
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ডে সরকারিভাবে যেতে পারবেন। স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীদের নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে সঠিক তথ্য জানতে হয়। এছাড়া কাজের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে হয়। ভুলেও এজেন্সিকে ভিসার জন্য অগ্রিম টাকা পেমেন্ট করবেন না।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info