তুরস্ক ভিসার দাম কত ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে অনেকে পড়াশোনা, চাকরি এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে তুরস্ক যেতে চায়। তুরস্ক যেতে আগ্রহীদের তুরস্ক ভিসার দাম কত জানতে হয়। তুরস্কের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো।

এটি ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত একটি দেশ। এটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। এটি মধ্যম আয়ের দেশ। এই দেশের অর্থনীতি মূলত বহুমুখী শিল্প, কৃষি এবং সেবা খাতের উপর নির্ভরশীল।

বাংলাদেশ থেকে যেকোনো উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে আগ্রহীদের তুরস্ক ভিসার দাম কত জানতে হবে। এছাড়া তুরস্ক ভিসা প্রসেসিং, যেতে কত টাকা লাগে, ভিসা আবেদনকারীদের বয়স ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।

তুরস্ক ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে ই-ভিসা নিয়ে তুরস্কে যাওয়া যায়। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী তুরস্ক ভিসা প্রসেসিং করতে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র লাগে। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট, টুরিস্ট ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে পারবেন।

ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে অনলাইনে ভিসা আবেদন করা যায়। বাংলাদেশে তুরস্কের দূতাবাস রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দূতাবাসে নিয়ে গিয়ে অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলক সহজ হয়ে থাকে। ভিএফএস গ্লোবাল অথবা তুর্কি দূতাবাসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে পারেন।

নির্দিষ্ট কোনো তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে তুরস্ক দূতাবাসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিসা আবেদন ফি ও বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন জমা দিতে হয়। কেউ চাইলে বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে তুরস্ক ভিসা প্রসেসিং করতে পারে।

আরও পড়ুন: তুরস্ক কাজের বেতন কত

তুরস্ক ভিসার দাম কত?

তুর্কি ভিসার দাম ভিসা ক্যাটাগরি ও ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও কাজের ভিসা ইত্যাদি। স্টুডেন্ট ও ভিজিট ভিসার দাম সাধারণত কম হয়ে থাকে।

তুরস্ক কাজের ভিসার অফিসিয়াল দাম প্রায় ১৭ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। তুরস্ক স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসার দাম প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যেতে আগ্রহীদের তুরস্ক ভিসার দাম কত জানতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিতে হবে।

আরও পড়ুন: তুরস্ক কাজের ভিসা পাওয়ার নিয়ম

তুরস্ক যেতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যাওয়ার খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার মেয়াদ, এজেন্সি ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে তুরস্ক যেতে খরচ অল্প হয়ে থাকে।

তবে বাংলাদেশ থেকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে সাধারণত ভিসার খরচ বেশি লাগে। এই খরচের মধ্যে সবকিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন: পাসপোর্ট, বিমান টিকেট বুকিং, ভিসা আবেদন ফি, এজেন্সি ফি ইত্যাদি।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ৮ লক্ষ টাকা লাগে। টুরিস্ট ভিসার খরচ সাধারণত ২ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা হয়। তুরস্ক স্টুডেন্ট ভিসার খরচ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা হয়।

তুরস্ক যেতে কত বছর বয়স লাগে?

তুরস্কে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সের মানদণ্ড রয়েছে। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের ন্যূনতম বয়স ১৬ বছর হতে হবে। টুরিস্ট ভিসা আবেদনকারীদের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে। তুরস্ক কাজের ভিসা পেতে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ১৮-৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের দূরত্ব প্রায় ৫,৮৩৯ কিলোমিটার। বিমানের ফ্লাইটে করে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যেতে প্রায় ৯ ঘন্টা সময় লাগে। তুরস্কের দূতাবাসে ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার ১৫ থেকে ২০ কর্ম দিবসের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: তুরস্ক কোন কাজের চাহিদা বেশি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top