ওমান যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে যেতে আগ্রহীদের ওমান যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে।

ওমান সরকার প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে অল্প খরচে সরকারিভাবে ওমান যেতে পারবেন। ওমান যেতে আগ্রহীদের ওমানের ভিসা কবে খুলবে জানতে হবে।

এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে ওমান যেতে কত টাকা লাগে জানতে পারবেন। এছাড়া ওমান কাজের বেতন, যাওয়ার বয়স, কোন কাজের চাহিদা বেশি ইত্যাদি জানতে পারবেন।

ওমান যেতে কত টাকা লাগে?

ওমান মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে যায়। উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি ভিন্ন হয়ে থাকে। আর ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ওমান যাওয়ার খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে যেতে আগ্রহীদের বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে।

বর্তমান বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ওমান যেতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে। স্টুডেন্ট ও ভিজিট ভিসায় ওমান যেতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা লাগে। ওমান ফ্রি ভিসার দাম প্রায় ৩.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কিংবা পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে যেতে পারলে ভিসা খরচ কম লাগে। তবে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের সাহায্যে গেলে ওমান ভিসার দাম বেশি লাগে।

আরও পড়ুন: ওমানের ভিসা কবে চালু হবে

ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৫

ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীদের বয়সের রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করতে হয়। বর্তমান বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ওমানে যেতে ভিসা আবেদনকারীদের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২১-২২ বছর হতে হয়। তবে স্টুডেন্ট ও ভিজিট ভিসা আবেদনকারীদের বয়সের কোন রিকোয়ারমেন্ট নেই।

আরও পড়ুন: ওমানের বর্তমান অবস্থা

ওমান বেতন কত?

কাজের ভিসা নিয়ে ওমানে যেতে আগ্রহীদের মনে একটা প্রশ্ন থাকে যে ওমান কাজের বেতন কত হয়। ওমান কাজের বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: কাজের ক্যাটাগরি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কোম্পানির ধরন ও লোকেশন ইত্যাদি।

বর্তমান ওমান কাজের বেতন প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে। কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়লে ওমানে কাজের বেতন ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কোম্পানি ভালো হলে সাধারণত কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে।

ওমান কাজের বেতন কত (মাসিক)
কাজবেতন (ওমানি রিয়াল)
রাজমিস্ত্রী৩০০-৪০০
ইলেকট্রিশিয়ান২৮০-৩৬০
শেফ২০০-২৫০
ওয়েটার১০০-১৫০
বাগানের কাজ১০০-১২০
সুপার মার্কেট১২০-১৫০

ওমান কোন কাজের চাহিদা বেশি?

ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে ওমান কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে রাখুন। বর্তমান ওমানে ইলেকট্রনিক্স, কনস্ট্রাকশন, মেকানিক, এসি টেকনিশিয়ান, প্লাম্বার, পেইন্টার ইত্যাদি কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে।

ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার আগে চাহিদা সম্পন্ন এক বা একাধিক কাজের উপর দক্ষ হয়ে যাবেন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে কাজের অভাব হবে না।

আরও পড়ুন: ওমান কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়

FAQs

ওমান ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?

ওমান ড্রাইভিং ভিসা বেতন প্রায় ১৫০-২০০ রিয়াল হয়ে থাকে।

ওমানের সর্বনিম্ন বেতন কত?

ওমানের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৩২৫ রিয়াল। তবে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো প্রযোজ্য হয় না।

ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন কত?

ওমানের বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ রিয়াল হয়ে থাকে।

ওমান ক্লিনারের বেতন কত?

ওমান ক্লিনারদের বেতন প্রায় ৯০ থেকে ১২০ রিয়াল হয়ে থাকে।

ওমানের ১ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা?

ওমানের ১ রিয়াল সমান বাংলাদেশের প্রায় ৩১০ টাকা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top