ইউরোপ মহাদেশের মধ্যম আয়ের দেশ পর্তুগাল। ইউরোপের এই দেশটি ফুটবল কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য অধিক পরিচিত। অনেকে পর্তুগালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকে। দেশটিতে যেতে আগ্রহীদের পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে ধারণা নিতে হবে।
যারা পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দেশটিতে পাড়ি জামানের কথা ভাবছেন তাদের অবশ্যই পর্তুগাল বেতন কত জানতে হবে। শুধু পর্তুগাল যাওয়ার খরচ ও বেতন সম্পর্কে ধারণা রাখলেই চলবে না। এছাড়া জানতে হবে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম।
পর্তুগাল যাওয়ার পরিপূর্ণ গাইডলাইন পেতে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলে আপনি পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে, যাওয়ার নিয়ম ও কত বয়স লাগে ইত্যাদি প্রশ্ন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক ভিসার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত তিন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশটিতে যাওয়া যায়।
যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। দেশটির ভিসা পাওয়ার জন্য পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং করতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশে পর্তুগালের ভিসা প্রসেসিং দূতাবাস নেই। বেসরকারি এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পর্তুগালের এম্বাসি রয়েছে। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা প্রসেসিং করতে হয়। ইউরোপ মহাদেশের মধ্যম আয়ের এই দেশটিতে জাতীয় ভিসা ও সেনজেন ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়।
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?
ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে সেটা পরিবর্তিত হয়। ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপযুক্ত ক্যাটাগরি নির্বাচন করে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ইউরোপের এই দেশটিতে যেতে পারলে খরচ কম লাগে।
কিন্তু বেসরকারি এজেন্সির শরণাপন্ন হলে ভিসা প্রসেসিং খরচ বেশি লাগে। পর্তুগাল ভিসার দাম কত জানলে বুঝতে পারবেন পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পর্তুগাল যেতে আনুমানিক ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পর্তুগালে যেতে আনুমানিক ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে। স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আবেদনকারী স্টুডেন্ট স্কলারশিপ পেলে পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কম লাগে। পর্যটক হিসেবে পর্তুগালে ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগে।
পর্তুগাল সেনজেন দেশ হওয়ায় জাতীয় ভিসার পাশাপাশি রয়েছে সেনজেন ভিসা। সেনজেন ভিসা নিয়ে ইউরোপের দেশ পর্তুগালে যেতে আনুমানিক ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। বাংলাদেশী নাগরিকদের পর্তুগালের সেনজেন ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন।
পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে?
পর্তুগাল যাওয়ার বয়সের সীমাবদ্ধতা শুধু ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কাজের ভিসা নিয়ে পর্তুগাল যেতে আগ্রহীদের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর হলে ভালো হয়।
বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীদের বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের সঙ্গে অবশ্যই অভিভাবক থাকতে হবে।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info