এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে পরিপূর্ণ একটি গাইডলাইন পাবেন। উন্নত জীবনযাপনের মান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটা গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
তবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পাওয়া অতটা সহজ নয়।দেশটিতে দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। তাই দেশটিতে গেলে উচ্চ বেতনে কাজ করতে পারবেন। দেশটির কাজের বেতন কত জানলে জানলে বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কাজ করার উদ্দেশ্যে দেশটিতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর অন্যতম একটা উন্নত দেশ। এই দেশে আপনি পৃথিবীর সেরা মানের শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তা পাবেন। স্বপ্নের এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে কাজের ভিসা।
এই ভিসা আপনাকে অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করলে ভিসা পাবেন। অস্ট্রেলিয়াতে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার ক্যাটাগরি হলো স্কিলড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসা (সাবক্লাস ১৮৯)। আপনার যদি কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এই ভিসা নিয়ে স্বপ্নের দেশে পাড়ি জমাতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার জন্য কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। তারপর গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে?
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- ই-পাসপোর্ট (ন্যূনতম মেয়াদ ২৪ মাস)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল সনদ
- ভিসা আবেদনকারীর ফটো (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)
- আইএলটিএস স্কোর ৫.৫ বা তার বেশি
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- ভোটার আইডি কার্ড
- কাজের অফার লেটার
- সিভি
- ফাইন্যান্সিয়াল সক্ষমতার ডকুমেন্ট (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন ২০২৫
অস্ট্রেলিয়া ভিসা প্রসেসিং আপনি চাইলে নিজে নিজে করতে পারবেন কিংবা বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির সাহায্যে করতে পারবেন। এজেন্সির সাহায্যে অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন করলে আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না।
তবে আপনাকে এজেন্সিকে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। নিজে নিজে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন হবে ওয়ার্ক পারমিট। তারপর আপনি অনলাইনে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
প্রথমে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। লিংক আপনি নিজ দায়িত্ব সংগ্রহ করে নিবেন। প্রয়োজনে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে না পারলে ইউটিউবের সহযোগিতা নিতে পারেন। অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন ফরম।
অনলাইনে আবেদন করার পূর্বে এটি আপনাকে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তারপর আপনাকে অনলাইনে আপলোড দিতে হবে। আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস আপলোড দিতে হবে।
এছাড়া ডুয়েল কারেন্সি ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং অনেক জটিল এবং সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।
আপনাকে ৬ থেকে ৮ মাস অপেক্ষা করা লাগতে পারে। আপনি ভিসার অনুমোদন পেলে ডাকযোগে ডেলিভারি দেওয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৫ কত টাকা লাগে?
অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভিসা হলো অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা। সিন্ডিকেট ও দালাল চক্রের কারণে প্রবাসীদের অনেক বেশি টাকা খরচ করে স্বপ্নের দেশ অস্ট্রেলিয়াতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হয়।
সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে দেশটিতে যেতে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার খরচ সবচেয়ে কম লাগে।অন্যদিকে, বেসরকারি অনুমোদিত এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে দেশটিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে খরচ অনেক বেশি লাগে।
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া যেতে আনুমানিক প্রায় ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লাগে। মনে রাখবেন, দালালদের মাধ্যমে গেলে জীবনের ঝুঁকি থাকবে। তাই চেষ্টা করবেন সরকারিভাবে স্বপ্নের দেশটিতে পাড়ি জমাতে।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info