হাজারো তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন থাকে ইউরোপে পাড়ি জমানো। ইউরোপে যাওয়ার পথ সহজ করে দিয়েছে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া। ইউরোপ যেতে আগ্রহীদের বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া। দেশটি সেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ লাভ করেছে। অনেকের মতে, দেশটি আংশিকভাবে সেনজেনভুক্ত হয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলোতে কাজের বেতন বেশি হয়। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যায়। এজন্য অবশ্যই বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে জেনে রাখতে হবে।
বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
বুলগেরিয়া যাওয়ার ভিসা খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী তারতম্য হয়ে থাকে। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, কাজের ভিসা ও ভিজিটর ভিসা ইত্যাদি। সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে বুলগেরিয়া যেতে কম খরচ হয়ে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে। তবে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে। অন্যদিকে, টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যেতে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে।
বেসরকারিভাবে দালালের মাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া গেলে বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। কারণ ব্যক্তিভেদে একেক জনের কাছ থেকে একেক রকম টাকা এজেন্সি কিংবা দালাল নিয়ে থাকে।
বুলগেরিয়া ভিসা প্রসেসিং
বুলগেরিয়া কাজে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে দেশটিতে যাওয়া যায়। তবে স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে নিজে নিজে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।
অনেকে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়াতে যায়। এক্ষেত্রে জীবনের অনেক বেশি থাকে। প্রতারণের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে ইউরোপের দেশ ইতালিতে ভিসা প্রসেসিং করে দেশটিতে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়। নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে চাইলে বুলগেরিয়া দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন।
বুলগেরিয়া যেতে কি কি লাগে?
বুলগেরিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজপত্র কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে। বুলগেরিয়া ভিসা প্রসেসিং করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
- পাসপোর্ট
- ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জব অফার লেটার (ওয়ার্ক)
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার (স্টুডেন্ট)
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট)
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (স্টুডেন্ট)
- ট্রাভেল রেকর্ড (টুরিস্ট)
- রিকমেন্ডেশন লেটার (স্টুডেন্ট)
- আইইএলটিএস স্কোর (স্টুডেন্ট)
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (ওয়ার্ক)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (ওয়ার্ক)
- মেডিকেলে রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
বুলগেরিয়া যেতে কত বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপে দেশ বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য বয়সের রিকোয়্যারমেন্ট পূরণ করতে হয়। কাজের ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদনকারীদের বয়সসীমা ২১ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হলে ভালো হয়। তবে বুলগেরিয়া টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের কোন বয়সসীমা নেই।
বুলগেরিয়া যেতে কত দিন লাগে?
বুলগেরিয়া ভিসা প্রসেসিং করতে সর্বোচ্চ ছয় মাস সময় লাগে। তবে সাধারণত দুই থেকে চার মাস সময় লাগে। ভিসা পাওয়ার পর ফ্লাইটে করে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যেতে ১৫ ঘণ্টা থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লাগে।
লেখকের পরামর্শ
যারা বুলগেরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যেতে ইচ্ছুক তারা বুলগেরিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার নিয়ম জেনে নিবেন। তারপর বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে। কারণ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী বুলগেরিয়া ভিসার দাম আলাদা হয়ে থাকে। পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে গেলে কম খরচে বুলগেরিয়া যাওয়া যায়।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info