কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

কম্বোডিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি তৃতীয় শ্রেণীর দেশ। উন্নয়নশীল এই দেশটিতে যাওয়ার আগে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা সম্পর্কে ধারনা রাখা উচিত। কম্বোডিয়ার ভিসার দাম কত না জানলে বিভিন্ন এজেন্সি আপনাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিসার জন্য অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিতে পারে।

যারা অল্প টাকা খরচ করে বিদেশে যেতে চান তাদের জন্য কম্বোডিয়া অন্যতম একটি সেরা গন্তব্য হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, উন্নয়নশীল এই দেশটিতে গেলে খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

তাই দেশটিতে যেতে আগ্রহীদের কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। এজন্য আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে অনেকেই যেতে চায়। কারণ দেশটির অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল এবং নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।  এজন্য নতুন নতুন সেক্টরে বিদেশি দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা বাড়ছে।

দেশটিতে যাওয়ার পূর্বে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিতে হবে। কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত জানলে আপনি কম্বোডিয়া যাওয়ার খরচ সম্পর্কে পরিপূর্ণ একটি আইডিয়া পেয়ে যাবেন। কম্বোডিয়ার ভিসা খরচ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভরশীল।

যেমন: ভিসা ক্যাটাগরি, মেয়াদ ইত্যাদি। তাছাড়া বিভিন্ন এজেন্সি ভেদে ভিসা খরচ আলাদা হতে পারে। একদম সঠিক তথ্য পেতে একজন কম্বোডিয়ার বাংলাদেশী প্রবাসীর কাছ থেকে তথ্য নিন।

কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত
ভিসা ক্যাটাগরিমোট ভিসা খরচ (টাকা)
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা৩-৬ লাখ
টুরিস্ট ভিসা১-১.৫ লাখ
স্টুডেন্ট ভিসা১-২ লাখ

আরও পড়ুন: কম্বোডিয়া দেশ কেমন

কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং

কম্বোডিয়ার ভিসা দুইভাবে পাওয়া যায়। প্রথমত, সরাসরি কম্বোডিয়ার এম্বাসিতে গিয়ে ভিসার জন্য যোগাযোগ করা। দ্বিতীয়ত, অনলাইনে কম্বোডিয়ার ই-ভিসার জন্য আবেদন করা। দূতাবাসে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করলে দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে দেশটির ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে পার্সোনাল তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তারপর আপনাকে একটা ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।

সর্বশেষ আপনাকে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড দিতে হবে। তাছাড়া আপনি চাইলে সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন বেসরকারি ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। কম্বোডিয়া যেতে যেসব ডকুমেন্টসের প্রয়োজন:

  • বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ)
  • ডিজিটাল পাসপোর্ট ফটো
  • ইমেইল
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • এয়ার টিকেট
  • ওয়ার্ক পারমিট
  • দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
  • মেডিকেল সনদ
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

আরও পড়ুন: কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

কম্বোডিয়া যেতে কত বয়স লাগে?

বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়ায় যায়। কারণ কম্বোডিয়ার কাজের বেতন খুব বেশি না হওয়ায় বাংলাদেশীরা যেতে আগ্রহী না। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দেশটিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের কোন শর্ত নেই। তবে কারো বয়স ১৮ বছরের কম হলে অভিভাবকের সঙ্গে যেতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হওয়া উচিত। কাজের ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া যেতে ন্যূনতম বয়স ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৪০ বছর বয়স হওয়া উচিত। আপনার বয়স ২৫ বছর হলে কাজের ভিসা খুব সহজে পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: কম্বোডিয়া কাজের বেতন কত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *