দুবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিখ্যাত একটি শহর। অনেকে হয়তো জানে না, এটা কোন দেশ নয়। অনেকে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী।
কিন্তু, দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ দুবাই গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে।
আপনিও যদি দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহ হয়ে থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে সকল ধরনের ইনফরমেশন জেনে যাবেন।
দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং
দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলো কাজের অনুমতি পত্র যা একজন প্রবাসীকে দুই বছর থেকে তিন বছর কাজের অনুমতি দিয়ে থাকে। এই ভিসা পাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করা লাগে।
বেসরকারি এজেন্সি কিংবা সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করা যায়। দুবাই কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশি সরকারি সংস্থা বোয়েসেল কিংবা বেসরকারি সংস্থার শরণাপন্ন হতে হবে।
দুবাই শহরে পরিচিত লোক থাকলে সরকারি সংস্থা কিংবা বেসরকারি এজেন্সি ছাড়াই দুবাই কাজের ভিসা প্রসেসিং করা যায়। এক্ষেত্রে খরচ অনেক কম হয়ে থাকে।
বিদেশে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত সরকারি সংস্থা বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি নিয়মিত নজর রাখতে হবে। দুবাই জব সার্কুলার চালু হলে আবেদন করা লাগবে।
বেসরকারিভাবে যেতে চাইলে বিশ্বস্ত বিভিন্ন এজেন্সির শরণাপন্ন হতে হয়। এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে দুবাই কাজের ভিসা প্রসেসিং করে দেয়। এভাবে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করা যায়।
এছাড়া অভিজ্ঞ কোন দুবাই প্রবাসী ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারেন যাতে করে দুবাই কাজের ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া সহজতর হতে পারে।
আরও পড়ুন: দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত
দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগে?
দুবাই কাজের ভিসা প্রসেসিং করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস লাগে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করা যায় না।
নিম্নে উল্লেখ করা হলো দুবাই ওয়ার পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
- পাসপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট
- আবেদনকারী পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- ভোটার আইডি কার্ডের কপি
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- ওয়ার্ক পারমিট
- জব অফার লেটার
আরও পড়ুন: দুবাই ভিসা কবে খুলবে
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি?
দুবাই একটি ধনী শহর। বর্তমানে দুবাইয়ে কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, মেকানিক, প্লাম্বিং, ইলেকট্রনিক, ক্লিনিং, হোটেল ওয়েটার ইত্যাদি কাজের চাহিদা বেশি। দুবাই শহরে অনেকে কাজ করতে চায়।
দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীদের দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি জানা দরকার। কারণ কাজের ভিসা প্রসেসিং করার পূর্বে যেকোনো এক বা একাধিক কাজে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে হবে।
দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি?
দুবাই কাজ করতে গেলে অবশ্যই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন। দুবাইয়ে প্লাম্বিং, টেকনিশিয়ান, মেসন, কার্পেন্টার, ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভিং ইত্যাদি কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে।
যারা দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দুবাই শহরে যেতে আগ্রহী তারা অবশ্যই দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি জেনে রাখবেন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে যেকোনো ধরনের কাজ করলে দুবাইয়ে বেশি বেতন পাবেন।
আরও পড়ুন: দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info