বাংলাদেশ থেকে অনেকে ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চায়। ইউরোপে কাজ করা অনেকেরই স্বপ্ন। উন্নত কর্মপরিবেশ, উচ্চ বেতন এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বিদেশি কর্মী যাচ্ছে। তবে এই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে প্রয়োজন ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
উন্নত জীবনের স্বপ্ন ও পেশাগত অগ্রগতির আকাঙ্ক্ষা অনেক বাংলাদেশিকে বিদেশে কাজের সুযোগ খুঁজতে অনুপ্রাণিত করে। এই প্রক্রিয়া অনেকের কাছে জটিল মনে হলেও সঠিক তথ্য এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে এটি সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব। ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
ইউরোপে কাজ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই আর্টিকেলটি যথাযথভাবে অনুসরণ করলে আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সহজ হতে পারে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার আগে নিজে যোগ্য কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। ইউরোপে কাজ করার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ভাষা দক্ষতা থাকতে হবে।
ওয়ার্ক পারমিট পেতে হলে আগে একটি বৈধ চাকরির অফার থাকা আবশ্যক। অনলাইন বিভিন্ন জব পোর্টাল ওয়েবসাইট থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চাকরি খুঁজতে হবে। তবে কেউ চাইলে বিশ্বস্ত এবং অনুমোদিত রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারে। ইউরোপের কোম্পানি প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার পাওয়ার পর ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং শুরু হয়।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে সরাসরি নির্দিষ্ট কোন দেশের দূতাবাসে গিয়ে ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হবে। বেশিরভাগ দেশের ভিসা আবেদন অনলাইনে জমা দিতে হয়। আবেদন করার পরে নির্দিষ্ট তারিখে এম্বাসিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করে বায়োমেট্রিক তথ্য ও ইন্টারভিউ দিতে হয়। তারপর ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি লাগে?
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়:
- পাসপোর্ট
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ইউরোপিয়ান সিভি
- চাকরির অফার লেটার
- স্কিল সার্টিফিকেট
- ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- মেডিকেল পরীক্ষার সার্টিফিকেট
- ভাষা দক্ষতা (যদি লাগে)
ইউরোপ ভিসা কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: দেশ, ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসা প্রসেসিং মাধ্যম, ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি, বিমান টিকেট ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশে অল্প খরচে যাওয়া যায়।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করলে ভিসা খরচ বেশি লাগে।
আরও পড়ুন: ইউরোপের কোন দেশে বেতন বেশি
ইউরোপে প্রবাসীদের বেতন কত?
ইউরোপ পৃথিবীর উন্নত মহাদেশ। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ কাজের ভিসা নিয়ে অনেকে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। ইউরোপে প্রবাসীদের বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: দেশ, কাজের ধরন, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কোম্পানির ধরন, ভাষা দক্ষতা, লোকেশন ইত্যাদি।
বর্তমান ইউরোপে প্রবাসীদের কাজের বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে কাজের বেতন কম হয়ে থাকে। তবে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবাসীদের কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে। অবৈধ প্রবাসীরা ইউরোপে কাজের বেতন বেশি পায়।
আরও পড়ুন: কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
ইউরোপে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ইউরোপের দেশগুলো উন্নত অর্থনীতি এবং বহুমুখী শিল্পখাতের কারণে কর্মসংস্থানের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই ইউরোপে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে ধারণা রাখতে হবে।
বর্তমান ইউরোপে কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, ফুড ডেলিভারি সার্ভিস, প্লাম্বার, উবার ড্রাইভার, ট্যাক্সি ড্রাইভার, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, ক্লিনার, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী, সিকিউরিটি গার্ড, কৃষি শ্রমিক ইত্যাদি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। ইউরোপে যেতে আগ্রহীদের যেকোনো কাজে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইউরোপের সর্বনিম্ন বেতন কত
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info