জার্মানি ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম একটি ধনী দেশ। দেশটি তথ্য প্রযুক্তি ও শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। দেশটির অত্যাধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে থাকে। কারণ দেশটিতে বিশ্ব বিখ্যাত অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে স্বপ্নের এই দেশটিতে যেতে আগ্রহীদের জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে হবে। দেশটির বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি নেয় না। প্রতিবছর শুধু সেমিস্টার ফি পরিশোধ করতে হয়।
দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গেলে পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম জব করার সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে স্বপ্নের দেশ জার্মানিতে যেতে চান তবে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
তাহলে জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা, জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ, জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন।
জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
উন্নত মানের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য জার্মানি পৃথিবী বিখ্যাত দেশ। তাই এই দেশটিতে পড়াশোনা করার স্বপ্ন অনেক শিক্ষার্থী দেখে থাকে। তবে জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে। জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা:
- এডমিশন লেটার
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট (জার্মানি বা ইংরেজি ভাষার আইইএলটিএস স্কোর)
- ফাইন্যান্সিয়াল সলভেন্সি ডকুমেন্ট (ব্লক একাউন্টে ১১,৯০৪ ইউরো থাকতে হবে)
- ভিসা ফি
- বৈধ পাসপোর্ট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- মোটিভেশনাল লেটার
- ভোটার আইডি কার্ড
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ
- হেলথ ইন্সুরেন্স
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার পূর্বে জার্মান দূতাবাস ঢাকার ওয়েবসাইটে ভিজিট করে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় চেক লিস্ট দেখে নিন। আবেদনকারী শিক্ষার্থীর ব্লক একাউন্টে ১৬ লক্ষ টাকা রাখতে হবে।
ভিসা প্রসেসিং করার পূর্বে জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে ভালোভাবে সবকিছু জেনে নিবেন। তারপর জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং শুরু করবেন। দেশটির স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া কিছুটা কঠিন। কারণ ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া দীর্ঘকালীন ও জটিল প্রক্রিয়া।
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে নিজে নিজে ঢাকার দূতাবাসে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনেও স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করা যায়।
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর স্টুডেন্ট ভিসার অনলাইন আবেদন ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে। চেক লিস্ট অনুযায়ী প্রতিটি কাগজ দুই সেট করে ফটোকপি করে রাখবেন।
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে প্রসেসিং করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত সমস্ত সাপোর্ট এজেন্সি প্রদান করে থাকে। এজেন্সিকে শুধু নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে তথ্য নিবেন। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন। স্টুডেন্ট ভিসা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে প্রসেসিং করা যায়। আবেদন করার সময় অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া অবশ্যই সরাসরি জার্মানি দূতাবাসে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৪০ দিনের মধ্যে তিন মাসের জার্মানি ভিসা পেয়ে যাবেন। দেশটিতে যাওয়ার পর কিছু ইনফরমেশন ভেরিফিকেশন করলে ভিসার মেয়াদ ১ থেকে ২ বছর হয়ে যাবে।
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। এই খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে স্টুডেন্ট ভিসা ফি, এজেন্সি ফি, সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন ফি, এয়ার টিকেট ক্রয়, হেলথ ইন্সুরেন্স পেমেন্ট ইত্যাদি।
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজের একাউন্টে নূন্যতম ১৬ লক্ষ টাকা ব্লক মানি হিসেবে দেখাতে হবে। ব্লক মানি বাদ দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে জার্মানিতে যেতে আনুমানিক প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে।
নিজে নিজে জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করলে জার্মানি যাওয়ার খরচ আরো কম লাগে। তবে এজেন্সির সহযোগিতায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ অনেক বেশি লাগে।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info