লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

বিশ্বের অন্যতম একটা উন্নত দেশ লুক্সেমবার্গ। দেশটিতে যাওয়ার স্বপ্ন সকলেই দেখে। কিন্তু, লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে জানা না থাকার কারণে অনেকেই তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে না।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী এই দেশটি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ। ইন্টারনেটে অনেকেই জানতে চেয়েছে লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে। অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী এই দেশটির বেকারত্বের হার অনেক কম।

যার কারণে দেশটিতে কাজের সুযোগ ও বেতন অনেক বেশি। যারা লুক্সেমবার্গ যেতে আগ্রহী তাদের অবশ্যই লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে জানা আবশ্যক।

লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে?

লুক্সেমবার্গ যাওয়ার প্রকৃত খরচ অনেক কম। তবে দেশটির ভিসা পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত ছোট্ট এই দেশটিতে উচ্চ শিক্ষিত না হলে কোনভাবেই যাওয়া যায় না।

তবুও, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে মানুষ দেশটিতে যাচ্ছে। ইউরোপের সেনজেন ভিসা থাকলে এই দেশে খুব সহজে যেতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যেতে আনুমানিক প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে।

তবে বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালদের মাধ্যমে গেলে ২০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা লাগবে। বাংলাদেশ থেকে বোয়েসেলের মাধ্যমে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দেশটিতে যাওয়া যায়।

নিজেই নিজে লুক্সেমবার্গ স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে পারলে অল্প খরচে যাওয়া সম্ভব।

লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে স্বপ্নের দেশ লুক্সেমবার্গ যেতে চাইলে অবশ্যই সরকারি সংস্থা বোয়েসেলের মাধ্যমে যেতে হবে। এছাড়া স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে লুক্সেমবার্গ ভিসা প্রসেসিং নিজে নিজে করতে পারবেন।

তবে আপনি চাইলে বিশ্বস্ত বিভিন্ন এজেন্সি মাধ্যমে যেতে পারেন। লুক্সেমবার্গ যেতে যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন:

  • পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • মেডিকেল সনদ
  • ওয়ার্ক পারমিট (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা)
  • চাকরির অফার লেটার (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা)
  • কভার লেটার
  • ঐ দেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার (স্টুডেন্ট ভিসা)
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট

লুক্সেমবার্গ ভিসা আবেদন করার নিয়ম

লুক্সেমবার্গ ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর উক্ত দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনে ভিসার আবেদন করা যায়। এজন্য প্রথমে দেশটির ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা আবেদন ফরম আলাদা হয়ে থাকে।

অনলাইনে সঠিকভাবে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড দিতে হবে এবং ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা ফি আলাদা হতে পারে। অনলাইনে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করার পর অফলাইনে সরাসরি লুক্সেমবার্গ দূতাবাসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন দিতে হবে।

এজন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রয়োজন হবে। এভাবে লুক্সেমবার্গ ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। যদিও দেশটির ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। কারণ এই দেশটির ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম এবং প্রক্রিয়াও জটিল হয়ে থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top