সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

কাজের সুযোগ, উন্নত জীবনযাপন মান ও আকর্ষণীয় কাজের বেতন বিবেচনা করলে সুইডেন দেশটি সকলের জন্য সেরা হতে পারে। দেশটিতে যেতে আগ্রহীদের সুইডেনে যেতে কত টাকা লাগে ধারণা রাখতে হবে। কারণ বেশিরভাগ মানুষ সুইডেন যাওয়ার খরচ নিয়ে দ্বিধার মধ্যে পড়ে যায়।

সুইডেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। দেশটির অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী। স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে আগ্রহীদের সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে সঠিক তথ্য জানতে হবে।

সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

অনেকে সুইডেনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চায়। তবে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে সুইডেনের কোন কোম্পানি থেকে জব অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে।

জব অফার লেটার পাওয়ার জন্য সুইডেনের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে হয়। চাকরির জন্য কোম্পানি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করলে জব অফার লেটার দিয়ে থাকে। তারপর নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।

তবে এজেন্সির মাধ্যমে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করালে যাবতীয় কাজকর্ম নির্দিষ্ট ফি নিয়ে নিজ দায়িত্ব করে দেয়। তবে কখনো কোন এজেন্সিকে ভিসার জন্য অগ্রিম টাকা পরিশোধ করবেন না।

সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫

সুইডেন ইউরোপের দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে চায়। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে তেমন কোন জ্ঞান রাখে না।

সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে সুইডেনের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার পেতে হবে। শিক্ষার্থীর আর্থিক সক্ষমতা (ব্যাংক ব্যালেন্স) থাকলে ভর্তির অফার লেটার পাওয়ার পর ভিসার আবেদন করতে পারে। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

অনেক সময় ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে স্টুডেন্টের একাউন্টে ব্যাংক ব্যালেন্স দেখানো যায়। এজেন্সির মাধ্যমে সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করাতে স্টুডেন্টকে শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এজেন্সি স্টুডেন্টের যাবতীয় কাজকর্ম নির্দিষ্ট ফি নিয়ে করে দিয়ে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার পাওয়ার জন্য সুইডেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেইল করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্টুডেন্টকে যোগ্য মনে করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার করে থাকে।

সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে

সুইডেনে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্টুডেন্টরা সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে। সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে খুব কম মানুষ বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে যায়। সুইডেন যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে।

বর্তমানে কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের দেশ সুইডেনে যেতে আনুমানিক প্রায় ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগে। স্টুডেন্ট ভিসায় সুইডেনে যেতে আনুমানিক প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে। টুরিস্ট ভিসায় সুইডেনে যেতে আনুমানিক প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে।

নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারলে অফিসিয়াল খরচে সুইডেনে পাড়ি জমাতে পারবেন। তবে এজেন্সির মাধ্যমে সুইডেন ভিসা প্রসেসিং করালে অনেক বেশি টাকা দিয়ে দেশটিতে যেতে হবে।

সুইডেন যেতে কি কি লাগে

সুইডেনে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়। যেমন: ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসা। এই ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুইডেন যেতে আলাদা কাগজপত্র লাগে। সুইডেন ভিসা আবেদন করতে নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র লাগে:

  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (ওয়ার্ক)
  • আইইএলটিএস স্কোর (স্টুডেন্ট)
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট
  • রিকমেন্ডেশন লেটার (স্টুডেন্ট)
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার (স্টুডেন্ট)
  • আবেদনকারীর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট)
  • একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (স্টুডেন্ট)
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (ওয়ার্ক)
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • মেডিকেলে রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট
  • ট্রাভেল রেকর্ড (টুরিস্ট)
  • জব অফার লেটার (ওয়ার্ক)

সুইডেন যেতে কত বছর বয়স লাগে

সুইডেনে যেতে শিক্ষার্থী ও ভ্রমণকারীদের নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া নেই। তবে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে আবেদনকারীদের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে কাজের ভিসা আবেদনের জন্য নূন্যতম বয়স ১৮ বছর হলে হবে তবে সর্বোচ্চ কোন বয়সসীমা নেই।

এই রিলেটেড আরো আর্টিকেল পড়ুন:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top