অকল্পনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ সুইজারল্যান্ড। অনেকের কাছে এই দেশটি স্বপ্নের মত। স্বপ্নের এই দেশটিতে যেতে হলে ভিসার প্রয়োজন। সুইজারল্যান্ড ভিসার আবেদন করার পূর্বে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে সেটা সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে অবগত হতে হবে।
উল্লেখ্য, এটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ বেতন প্রদানের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। দেশটিতে শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের কাজের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। তবে দেশটির ভিসা পাওয়া তুলনামূলক অনেক বেশি কঠিন। কিন্তু, একেবারে অসম্ভব নয়।
সুইজারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে আপনিও পেতে পারেন ভিসার অনুমোদন। এজন্য আপনাকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে শিরোনামে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি শব্দ পড়তে হবে। তাহলে সুইজারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উপায়
যদিও দেশটি সেনজেনভুক্ত একটি দেশ কিন্তু এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে পারিনি। সেনজেনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশটিতে যেতে অবশ্যই সেনজেন ভিসা প্রয়োজন হবে। তবে সুইজারল্যান্ডে জাতীয় ভিসা নিয়েও যাওয়া যায়।
এই দেশে যেতে হলে আপনার উচ্চ শিক্ষা থাকা বাধ্যতামূলক। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এই দেশে যাওয়া অনেক সহজ হবে। তবে সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। কারো যোগ্যতা থাকলে সুইজারল্যান্ড জব ভিসা পেতে পারেন।
অনেক বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকলে দেশটির সরকার যোগ্য মনে করে এবং ভিসা প্রদান করে থাকে। সাধারণত উন্নয়নমূলক দেশ থেকে স্বপ্নের এই দেশটিতে যাওয়া অনেক বেশি কঠিন। সুইজারল্যান্ড যেতে যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন:
- পাসপোর্ট
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- ভোটার আইডি কার্ড
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- কভার লেটার
- চাকরির অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- নির্দিষ্ট সাইজের কালারফুল ছবি
সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে?
সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে। বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উপায় জানার পর অবশ্যই ভিসা খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। ইউরোপের এই দেশটির ভিসা পাওয়া তুলনামূলক অনেক কঠিন।
তাই দালাল কিংবা বিভিন্ন এজেন্সিকে টাকা দেওয়ার পূর্বে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। আপনি যদি নিজে নিজে সুইজারল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আনুমানিক ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। কিন্তু, আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নেন তাহলে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।
আসলে সুইজারল্যান্ড যেতে আসলে কত টাকা লাগবে সেটা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। সবচেয়ে ভালো হবে দেশটির কোন প্রবাসীর কাছ থেকে ভিসা খরচ সম্পর্কে তথ্য নেওয়া।
সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
সুইজারল্যান্ডের ভিসা পাওয়া যেমন কঠিন তেমনি দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া অনেক বেশি কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। আপনি নিম্নে উল্লেখিত উপায়ে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব লাভ করতে পারবেন:
- সুইজারল্যান্ডের সি পারমিট থাকতে হবে এবং দেশটিতে কমপক্ষে ১০ বছর অবস্থান করতে হবে। তাহলে দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- সুইস নাগরিককে বিয়ে করে ইউরোপের এই দেশটির নাগরিকত্ব লাভ করতে পারেন। এক্ষেত্রে নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে বিয়ের বয়স কমপক্ষে ৩ বছর হতে হবে। অর্থাৎ আপনি উক্ত দেশে দুই বছর বসবাস করার পর বিয়ে করলে বিয়ের তিন বছর পর নাগরিক হওয়ার আবেদন করতে পারবেন।
- আপনার সন্তান সুইস নাগরিক না হয়েও নাগরিকত্ব লাভ করতে পারবে যদি ঐ দেশে জন্ম হয় এবং পিতা অথবা মাতা যে কেউ দেশটির আগে থেকেই নাগরিকত্ব পেয়ে থাকে।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info