বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। বিভিন্ন বিদেশে পড়াশোনা, ভ্রমণ ও চাকরির উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে অবশ্যই ভিসা প্রয়োজন হয়। বিদেশে যেতে আগ্রহীদের ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে জানতে হয়। ভিসা কিভাবে করতে হয় না জানলে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণের জন্য প্রায় ৪১টি দেশে যেতে কোন ধরনের ভিসা প্রয়োজন হয় না। তবে দেশটিতে পৌঁছানোর পর অন এরাইভাল ভিসা প্রয়োজন হয়। যেকোনো দেশের ভিসা আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আগ্রহীদের ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে জানতে হবে। আবেদন করার নিয়ম জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে ২০২৫
যে কোন দেশের ভিসা আবেদন করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। দেশ ও ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র লাগে। বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসার জন্য আবেদন করতে সাধারণত নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়:
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ড
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
- ভাষা দক্ষতা (যদি লাগে)
কাজ ও চাকরির উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে আগ্রহীদের বৈধ কাজের অফার লেটার, ওয়ার্ক পারমিট, কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট ও কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের বিদেশে যেতে কাঙ্ক্ষিত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার, আর্থিক সক্ষমতা ও ভাষা দক্ষতা প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে ভিসা প্রত্যাশীদের ভ্রমণের উদ্দেশ্য, ভ্রমণের প্রমাণ, ট্রাভেল রেকর্ড ও আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেকোনো দেশের ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয়। এজন্য আগ্রহীদের ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে জানতে হবে।
ভিসা কিভাবে করতে হয়?
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশের ভিসা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে প্রসেসিং করতে পারবেন। দেশ ও ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা আবেদন করার নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। নিম্নে কিভাবে ভিসা করতে হয় সাধারণ দিক নির্দেশনা দেওয়া হলো:
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে আগ্রহীদের প্রথমে দেশ ও উদ্দেশ্য নির্বাচন করতে হবে। বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি। দেশ ও ভিসা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করার পর ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে।
নিজে নিজে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশে কাঙ্খিত দেশের এম্বাসি থাকলে সরাসরি এম্বাসিতে গিয়ে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। তবে কেউ চাইলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়াতে বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।
অনলাইনে কিংবা অফলাইনে ভিসা আবেদন করার সময় ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা আবেদন ফি জমা দিতে হবে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাঙ্ক্ষিত দেশের এম্বাসিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ইন্টারভিউ ফেস করতে হয়। তবে কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ দিতে হয় না।
সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর মূলত ভিসা প্রসেসিং শুরু হয়। ভিসা প্রসেসিং হতে সাধারণত ১৫ দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। ভিসার আবেদনটি অনুমোদিত হলে পাসপোর্ট সহকারে আবেদনকারীদের ভিসা ডেলিভারি করা হয়।
লেখকের পরামর্শ
ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে জেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে সঠিকভাবে যেকোনো দেশের ভিসা আবেদন করলে সহজে ভিসা পেয়ে যাবেন। ভিসা পেতে অবশ্যই ভিসা আবেদনকারীদের যোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info