উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সেরা হতে পারে। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে আগ্রহীদের দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হয়। লটারি ছাড়া কোরিয়া যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো স্টুডেন্ট ভিসা।
দেশটি উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, অফুরন্ত কাজের সুযোগ, আধুনিক ও উন্নত জীবনযাপনের মানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। স্বপ্নের এই দেশটিতে পড়ালেখা করার জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং, যোগ্যতা ও খরচ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন
দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
দক্ষিণ কোরিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা:
- ভর্তির অফার লেটার: দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার অনুমোদিত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা কলেজে ভর্তি হতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য ভর্তি অফার লেটার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট।
- ফাইনান্সিয়াল সলভেন্সি ডকুমেন্টস: আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদর্শন করতে হয়। এছাড়া জমির দলিল, শেয়ার কেনার কাগজপত্র, স্পন্সারশিপ লেটার, অন্যান্য প্রপার্টি ডকুমেন্ট প্রদর্শন করা যেতে পারে।
- বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা: স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে পড়াশোনা শেষ করে নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
- কোরিয়ান ভাষা দক্ষতা (যদি প্রয়োজন পড়ে)
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- এনআইডি কার্ড
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ফটো
- রিকমেন্ডেশন লেটার (যদি লাগে)
দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে পড়াশোনা করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা প্রয়োজন। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং করতে হয়। প্রথমে কোরিয়ার যেকোনো একটি সরকার অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অফার লেটার নিতে হবে।
তারপর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। অনলাইনে কিংবা দূতাবাসে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে পারবেন। নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করা ঝামেলা মনে হলে বিশ্বস্ত এজেন্সির শরণাপন্ন হতে পারেন।
নিজে নিজে ভিসা আবেদন করার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার পর কিছু ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার দিতে হয়। আপনার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন অনুমোদিত হলে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক দিতে হবে। এভাবে ভিসা প্রসেসিং করলে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সহজে পেয়ে যাবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত?
দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খরচের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা, টিউশন ফি, এয়ার টিকিট বুকিং, ভিসা আবেদন ফি ইত্যাদি। অনেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানোর জন্য ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে থাকে।
এজন্য আলাদা করে ঋণের সুদ বাবদ ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করা এবং কুরিয়ার করে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানোর জন্য প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
টিউশন ফি অগ্রিম পরিশোধ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধরন অনুযায়ী প্রায় ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা লাগে। এছাড়া বাংলাদেশ টু দক্ষিণ কোরিয়া এয়ার টিকিট ক্রয় করতে হবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে আনুমানিক প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে।
আবেদনকারী যদি নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং না করে কোন এজেন্সির সহযোগিতায় দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করে তবে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খরচ আরো বেশি হবে।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info
Student Visa
Student