বুলগেরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে অনেকে ইউরোপের মাটিতে পাড়ি জমাতে চাচ্ছে। হাজারো বাঙালির এই স্বপ্ন পূরণের পথ সহজ করে দিচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া। কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে হলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে।
বর্তমানে দেশটি সেনজেন অঞ্চলে প্রবেশ করায় অনেকেই বুলগেরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছে।বুলগেরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটি পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন।
বুলগেরিয়া কাজের ভিসা প্রসেসিং
বুলগেরিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ। প্রতি বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের ভিসার মাধ্যমে কর্মী সংগ্রহ করে থাকে। ইউরোপের এই দেশটিতে যেতে হলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবকিছু জানতে হবে।
দেশটির বেতন আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বুলগেরিয়া বেতন কত জানলে বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার হবে। বুলগেরিয়া কাজের ভিসা দুইভাবে প্রসেসিং করা যাবে। যথা: এজেন্সির মাধ্যমে ও নিজে নিজে।
বুলগেরিয়া কাজের ভিসার পাওয়ার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। কাজের ভিসার আবেদন করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ও জব অফার লেটার সংগ্রহ করা লাগবে। নিজে নিজে আবেদন করলে অনলাইনে বিভিন্ন জব পোর্টালে চাকরির জন্য আবেদন করে প্রথমে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ও জব অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে।
অনলাইনে চাকরির ভাইভা দিতে হয়। কোম্পানি আপনাকে যোগ্য মনে করলে ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে দিবে। সাথে জব অফার লেটার পাবেন। তখন আপনি অনলাইনে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া এজেন্সির মাধ্যমে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করা যায়। এজন্য এজেন্সিকে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অবশ্যই বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করবেন।
তাছাড়া বাংলাদেশের সরকারের বিদেশে কর্মী নিয়োগের ওয়েবসাইট বোয়েসেল এ নজর রাখতে পারেন। বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কম খরচে যাওয়া যায়। বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে যা যা লাগে:
- বৈধ পাসপোর্ট
- জব অফার লেটার
- ফাইন্যান্সিয়াল সলভেন্সি ডকুমেন্ট (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- ছবি
- হেলথ ইন্সুরেন্স
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল সনদ
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- স্কিল সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ
- কাজের চুক্তিপত্র
বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
বুলগেরিয়া ভিসা খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা হবে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে মানুষ সবচেয়ে বেশি যায় গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে।
বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে বুলগেরিয়া ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ বেশি লাগে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যেতে প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগে।
অল্প খরচে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিজে নিজে অনলাইনে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা আবেদন করতে হবে। এছাড়া পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে গেলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসার খরচ কম হয়।
বুলগেরিয়া যেতে কত বয়স লাগে?
বুলগেরিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার বয়স ২১-৩৫ বছর হলে উত্তম হবে। তবে ভিসা আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হলে বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
উল্লেখ্য, কোন কাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া থাকলে সেই রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করতে হবে।
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info
বুলগেরিয়া কিবাবে এপলাই করবো
I am diploma in automobile Engineering then i am interested Bulgarian students and job visa apply.
আপনার জন্য শুভকামনা। বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করুন। সরকারিভাবে যেতে চাইলে বোয়েসেলের মাধ্যমে যেতে পারেন। যে কোন দেশের ভিসা আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন থাকুন।
rabbib267@gmail.com