ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী ২০২৫

ফ্রান্স পশ্চিম ইউরোপের রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশ। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভক্ত দেশ। বাংলাদেশ থেকে অনেকে ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চায়। প্রবাসীদের এই দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। ফরাসি ভাষা জানা থাকলে কাজের বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়।

এটি ইউরোপের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এদেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ পায়। চাকরি কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ফ্রান্স যাওয়া যায়। সরকারিভাবে যেতে বোয়েসেল, বিএমইটি ইত্যাদি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে নিয়মিত চোখ রাখতে হবে। যদি উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তখন আবেদন করতে হবে।

কাজের উদ্দেশ্যে ফ্রান্স বা অন্য দেশে যেতে হলে বিএমইটি ও বোয়েসেল এর ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সরকারি অনুমোদিত রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রান্সে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।

নিজে নিজে ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে বৈধ কাজের অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য বিদেশি বিভিন্ন জব পোর্টাল ওয়েবসাইটে ফ্রান্স কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কোম্পানি চূড়ান্তভাবে নিয়োগ করলে কাজের অফার লেটার প্রদান করে থাকে‌।

ফ্রান্স ভিসা আবেদন ২০২৫

ফ্রান্স ইউরোপের অন্যতম একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যেমন: সেনজেন ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি। উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপযুক্ত ভিসা ক্যাটাগরি প্রয়োজন হয়।

পড়াশোনা, চাকরি ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ফ্রান্সে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই ফ্রান্স ভিসা আবেদন ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে অনলাইনে ফ্রান্স ভিসা আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে ফরম পূরণ করে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।

ফ্রান্স ভিসা আবেদন করতে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা আবেদন ফি জমা দিতে হয়। অফলাইনে সরাসরি এম্বাসিতে গিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। নির্দিষ্ট তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে এম্বাসিতে ইন্টারভিউ দিতে হয়। তারপর ফ্রান্স ভিসা প্রসেসিং শুরু হবে।

ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে?

ফ্রান্সে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন হয়। ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
  • কাজের অফার লেটার
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট
  • ওয়ার্ক পারমিট
  • ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
  • স্বাস্থ্য বীমা
  • ভাষা দক্ষতা
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট

ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সির উপর নির্ভর করে ভিসা খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের শক্তিশালী এই দেশে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে।

বর্তমান বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে ফ্রান্স ভিসা আবেদন করলে খরচ কম হয়ে থাকে।

তবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ বেশি হয়। স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করে মাত্র ৫ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচে বৈধভাবে ফ্রান্সে যেতে পারেন।

আরও পড়ুন: ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত

ফ্রান্স কোন কাজের চাহিদা বেশি?

ফ্রান্সে বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশি প্রবাসীরা সাধারণত দক্ষতা নির্ভর কাজগুলো বেশি করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই ফ্রান্স কোন কাজের চাহিদা বেশি জানতে হবে।

বর্তমান ফ্রান্সে কৃষি শ্রমিক, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, ফুড ডেলিভারি, ড্রাইভিং, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, ক্লিনার, সিকিউরিটি গার্ড ইত্যাদি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে।

FAQs

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স বিমান ভাড়া কত?

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স বিমান ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ফ্রান্স যেতে কত বছর বয়স লাগে?

ফ্রান্স কাজের ভিসা নিয়ে যেতে ১৮-৪৫ বছর বয়স লাগে।

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স বিমানে করে যেতে প্রায় ১৫ ঘন্টা থেকে ২৫ ঘন্টা সময় লাগে।

বাংলাদেশে ফ্রান্সের এম্বাসি কোথায়?

বাংলাদেশে ফ্রান্সের এম্বাসি ঢাকার বারিধারায় অবস্থিত।

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স দূরত্ব কত কিলোমিটার?

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের দূরত্ব প্রায় ৭ হাজার ৯৯০ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন: ফ্রান্স কাজের বেতন কত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top