লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

অনেকে ইউরোপের দেশ লিথুনিয়াতে যেতে চায় কিন্তু লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানে না। লিথুনিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের মধ্যম আয়ের একটি দেশ। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত দেশ।

স্বপ্নের দেশ লিথুনিয়া যেতে আগ্রহীদের লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে সঠিক তথ্য জানতে হবে। নতুবা লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য আর্থিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন না। এজন্য সকলের উচিত হবে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে জেনে রাখা।

ফলে বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালাল ভিসার জন্য অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানতে পারবেন। এছাড়া লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বয়সসীমা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।

লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের এই দেশে যাওয়া যায়। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশটিতে যাওয়ার জন্য লিথুনিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার ও ফাইন্যান্সিয়াল সক্ষমতা প্রয়োজন। কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে যাওয়ার জন্য কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন।

লিথুনিয়া ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে ট্রাভেল রেকর্ড ও ফাইন্যান্সিয়াল সক্ষমতা থাকা লাগে। তাহলে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করে দেশটিতে যেতে পারবেন।তবে বেসরকারি এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে লিথুনিয়া যেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

এজেন্সি নির্দিষ্ট ফি নিয়ে থাকে। আবেদনকারীর পক্ষ হয়ে এজেন্সি যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আর্থিক প্রতারণার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এজেন্সিকে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করবেন না।

আরও পড়ুন: লিথুনিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার নিয়ম

লিথুনিয়া যেতে কি কি লাগে?

লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা প্রয়োজন হয়। লিথুনিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজপত্র আলাদা হয়ে থাকে।

  • পাসপোর্ট
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • আবেদনকারীর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জব অফার লেটার (ওয়ার্ক)
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার (স্টুডেন্ট)
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট)
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট
  • একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (স্টুডেন্ট)
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (ওয়ার্ক)
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (ওয়ার্ক)
  • মেডিকেলে রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • ট্রাভেল রেকর্ড (টুরিস্ট)
  • রিকমেন্ডেশন লেটার (স্টুডেন্ট)
  • আইইএলটিএস স্কোর (স্টুডেন্ট)

লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

লিথুনিয়া যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি। সাধারণত স্টুডেন্ট ও ভিজিট ভিসার খরচ লিথুনিয়া কাজের ভিসার চেয়ে কম হয়ে থাকে।

বর্তমানে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা লাগে। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া নিয়ে যেতে  প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে। ইউরোপের এই দেশটিতে ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে  প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে।

নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারলে অফিসিয়াল খরচে যাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের সহযোগিতায় লিথুনিয়া নিয়ে ভিসা প্রসেসিং করলে ভিসার খরচ বেশি লাগে।

আরও পড়ুন: লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?

লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?

লিথুনিয়া স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে বয়সের কোনো রিকোয়ারমেন্ট নেই। তবে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে ন্যূনতম বয়স ২০ বছর হতে হয়।

কাজের ভিসা আবেদনকারীদের বয়স ২১ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে শিরোনামে লেখা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য  ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন: লিথুনিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top