কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত দেশ লিথুনিয়া সেরা হতে পারে। কাজের ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া নিয়ে যেতে আগ্রহীদের লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে হবে।
লিথুনিয়া ইউরোপের দেশ হওয়ায় কাজের বেতন সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। তবে সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও দেশটির ভিসা পাওয়ার তুলনামূলক সহজ। এজন্য লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম জানতে হবে।
এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে লিথুনিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন। এছাড়া লিথুনিয়া দেশ কেমন, যেতে কত বছর বয়স লাগে এবং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদির বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং
লিথুনিয়া সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এজন্য যারা কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে আগ্রহী তাদের অবশ্যই লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে।
নিজে নিজে কাজের ভিসার আবেদন করার পূর্বে কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন হয়। তবে এজেন্সির মাধ্যমে লিথুনিয়া কাজের ভিসা প্রসেসিং করলে কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট এজেন্সি সংগ্রহ করে দিয়ে থাকে।
ভিসা আবেদনকারীকে শুধু কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এক্ষেত্রে এজেন্সিকে মোটা অংকের টাকা ফি দিতে হয়। নিজে নিজে কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার জন্য লিথুনিয়ার বিভিন্ন জব পোর্টালে কাজের জন্য আবেদন করতে হয়।
কোম্পানি আবেদনকারীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করলে জব অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করে থাকে। তারপর অনলাইনে কিংবা অফলাইনে সরাসরি দূতাবাসে গিয়ে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।
আরও পড়ুন: লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং কি কি লাগে?
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য নিম্নে উল্লেখিত ডকুমেন্টস লাগে:
- পাসপোর্ট
- আবেদনকারীর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ড
- ইউরোপিয়ান স্টাইল সিভি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- স্কিল সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- কাজের অফার লেটার
- ওয়ার্ক পারমিট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম
লিথুনিয়া দেশ কেমন?
লিথুনিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি সুন্দর বাল্টিক দেশ। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সেনজেনের সদস্য হওয়ায় আধুনিক জীবনযাত্রা এবং উচ্চমানের শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে থাকে। এটি মধ্যম আয়ের দেশ।
লিথুনিয়ার অর্থনীতি উন্নয়নশীল এবং জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। লিথুনিয়া কাজের বেতন বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। এটি একটি শান্তিপূর্ণ দেশ।
আরও পড়ুন: লিথুনিয়া বেতন কত
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
লিথুনিয়া টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কোন বয়সসীমা নেই। লিথুনিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে আবেদনকারীদের সর্বনিম্ন বয়স ২০ বছর হতে হবে।
তবে কাজের ভিসা আবেদনকারীদের বয়স ২১-৩৫ বছর হলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে টেলিগ্রামে জিজ্ঞেস করুন: Bd Visa Info ২৪ ঘন্টা ফ্রি ভিসা সার্ভিস ও লেটেস্ট আপডেট পেতে ক্লিক করে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন: Bd Visa Info